Skip to main content
Loading Ad...
Free Study Help

টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে | মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও গুরুত্ব

By Sheikh Published: October 12, 2025
Views:
টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে  |  মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা ও গুরুত্ব
Related Posts
Loading Ad...

Table of Contents

 

টাচস্ক্রিন মোবাইল আবিষ্কারক, মোবাইল ফোন ব্যবহার, মোবাইল ফোনের গুরুত্ব, টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি, Mobile phone inventor, Mobile phone benefits

মোবাইল ফোনের ব্যবহার 

প্রিয় পাঠকবৃন্দ freestudyhelp এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই শুভেচ্ছা ও সালাম আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও রহমতে ভালো আছি। আপনারা হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মোবাইল ফোনের আবিষ্কার সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন। আর তাই আজকে আমরা আমাদের পোষ্ট টি তৈরি করেছি। আমাদের আজকের এই পোস্টে মোবাইল সম্পর্কে যা যা থাকছেঃ সেগুলো হলোমোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে , টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা, মোবাইল ফোনের ব্যবহার , মোবাইল ফোনের গুরুত্ব ।
আশা করছি পুরো পোস্টটি আপনারা ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন এবং সঠিক তথ্যটি পাবেন।

মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে

মার্টিন কুপার। তিনি মটোরোলা কম্পানিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে কল করতে সমর্থ হন। তাই তাকে মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক বলা হয়।

 টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে

বর্তমান সময়ে টাচ স্ক্রিন মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমরা এমন অনেকেই আছি যারা টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কিন্তু এর আবিষ্কারক কে সেটা সম্পর্কে আমরা জানিনা। আর তাই আজকে আমাদের পোস্টে তৈরি করা হয়েছে আপনারা আমাদের পোস্টটি পড়ে জানতে পারবেন টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে।

টাচ স্কিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক স্টিভ জবস

 মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা

মােবাইল ফোন ব্যাবহারের অনেক উপকার রয়েছে যেমন: সহজে মানুষের সাথে যােগাযােগ করা যায়, মূহুর্তেই যেকোন সংবাদ বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছান যায়।। এছাড়া আরাে অনেক উপকার রয়েছে।। আর বর্তমানে স্মার্টফোনের উপকারিতা অনেক যেমন আমরা ঘরে বসেই অনেক কিছু দেখতে পারি, যেকোন নিউজ বা ভিডিও দেখতে পারি, অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারি।।যেমন এর উপকার আছে তেমন আছে অপকার,,, এখন অনেক যুবক আছে এমন যারা এই ফোনের মাধ্যমে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, মুহূর্তেই অনেক খবর পেয়ে যাচ্ছে যার দরূন বিপাকে পড়ছে সাধারণ মানুষ।।এছাড়া ওরা এমন সব খারাপ ভিডিও দেখতে পারে ঘরে বসেই যা আগে পাড়ত না।

মােবাইল ফোন ব্যবহারে সুবিধা হলাে- ১.সহজে একে অপরের সাথে যােগাযােগ করা যায়। ২.বিপদআপদ আপনজনকে খবর পৌঁছানাে যায়। ৩.জরুরি মূহুর্তে পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস সেন্টারে কল করা যায়।

মোবাইল ফোনের গুরুত্ব 

মোবাইল ফোন

ভূমিকা:

বিবর্তনের সোপান বেয়ে আসে সভ্যতা। সভ্যতা হচ্ছে মানবজাতির বুদ্ধি, মেধা ও অভিজ্ঞতার সমষ্টি। এ মানব সভ্যতায় নানা সময় সৃষ্টি হয়েছে নানা বিষ্ময়কর জিনিস। বর্তমানে আমরা এক নতুন শতাব্দীতে এসে হাজির হয়েছি, যেখানে বিশ্বময় চলছে বিজ্ঞানের জয় জয়কার। এ বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের একটি বিষ্ময়কর আবিষ্কার হচ্ছে মোবাইল ফোন।

মোবাইল ফোন কী:

মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন বা হ্যান্ড ফোন হচ্ছে তারবিহীন টেলিফোন বিশেষ। "Mobile" ইংরেজি শব্দ যার বাংলা প্রতিশব্দ হলো ‘ভ্রাম্যমান’ বা ‘স্থানান্তর যোগ্য’। এই ফোন সহজে যেকোনো স্থানে বহন এবং ব্যবহার করা যায় বলে একে মোবাইল ফোন নামকরণ করা হয়েছে। এটি ষড়ভূজ আকৃতির ক্ষেত্র বা এক-একটি সেল নিয়ে কাজ করে বলে একে সেলফোনও বলা হয়। মূলত মোবাইল ফোন যোগাযোগের একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বিশেষ। এটি বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে কাজ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগ দিতে পারে। শুধু কথা বলাই নয়, মোবাইল ফোন এ মাধ্যমে আরো অনেক সেবা গ্রহণ করা যায় যেমনঃ- এস,এম,এস, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ব্লু-টুথ ব্যবহার ইত্যাদি।

মোবাইল ফোনের আবিষ্কার:

সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভাবে জাহাজ ও ট্রেনে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশন হিসেবে ব্যবহার করা হত। মোবাইল ফোনের উদ্ভাবক হলেন- ড. মার্কিন কুপার। তিনি ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল সফলভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। মোবাইল ফোন প্রথম বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে। ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না "Ts 8000x''।

বাংলাদেশে মোবাইল ফোন:

বাংলাদেধে প্রথম মোবাইল ফোন চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে। ‘হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড প্রথম ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন সেবা চালু করে। বর্তমানে টেলিটক, সিটিসেল, বাংলালিক, গ্রামীনফোন, রবি, এয়ারটেল এই ছয়টি কোম্পানি এ সেবা দিচ্ছে।

মোবাইল ফোনের ব্যবহার:

আজ থেকে প্রায় বছর ত্রিশ পূর্বে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে। ধনী ও শৌখিন পরিবারেই শুরুর দিকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে শিল্পপতি থেকে রিক্সাচালক পর্যন্ত এটি ব্যবহার করে থাকে। ২০১২ সালের এক জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে ১১ কোটিরও বেশি গ্রাহক মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় রয়েছে। বর্তমানে এটির জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা

বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে দেশে বিদেশে যোগাযোগসহ শিক্ষা, সংস্কৃতি, আচার ব্যবহার ইত্যাদির সাথে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী। তথ্য ও প্রযুক্তি ছাড়া বর্তমান মানব জীবন কল্পনা করা যায় না। এসব উপাদানের উৎস হিসেবেও মোবাইল ফোনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এককথায় বর্তমানে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে আজকের মোবাইল ফোন।

যোগাযোগের মাধ্যম:

সুষ্ঠুভাবে জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য শর্ত হলো যোগাযোগ। দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন। এর মাধ্যমে আমরা দূরের স্থানে বা মানুষের খবর জানতে পারি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যথাসময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠাতে পারি।

ইন্টারনেট ব্যবহার:

বর্তমান বিশ্বকে বিশ্ব গ্রামে পরিণত করেছে যে উপাদানটি তার নাম ইন্টারনেট। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-মেইলসহ বিশ্বের যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টানেট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ডাউনলোড করা যায়।

চিত্তবিনোদনের মাধ্যম:

মোবাইল ফোন মানুষের চিত্তবিনোদনের চাহিদা পূরণের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। মোবাইল ফোনে গান শোনা, ভিডিও দেখা, ছবি তোলা, খেলা করা ইত্যাদি মাধ্যমে মানুষের চিত্তবিনোদনের চাহিদা পূরণ হয়।

জাতীয় জীবনে মোবাইল ফোন:

সামাজিক উন্নয়নে মোবাইল ফোনের অবদান ব্যাপক। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জনগণকে অর্থনৈতিক অবস্থা, নিরক্ষরতা, শিক্ষাব্যবস্থা, পরিবার পরিকল্পনা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন করে তোলা যায়। যা জাতীয় জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

বিবিধ সেবা প্রদান:

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করা যায়, যা তাদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এছাড়া বিভিন্ন অপারেটর কর্তৃক স্বাস্থ্য সেবা, কৃষি সেবা ইত্যাদি প্রদান করা হয়ে থাকে যা জনসাধারণকে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনে সাহায্য করে। এটি রেডিও, টেলিভিশন থেকে শুরু করে ই-মেইল, ইন্টানেটের সকল সুবিধা প্রদান করে থাকে।

মোবাইল ফোনের অপকারিতা:

প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নের ফলে মোবাইল ফোন অতি প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। এর হাজারো উপকারিতা থাকলেও অপব্যবহার যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে যেন মোবাইল ফোনের অপকারিতার পাল্লাই দিন দিন ভারি হচ্ছে। নিম্নেমোবাইল ফোনের কিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা হলো-

অর্থের অপচয়:

বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতে ২০১৩ সালে মোবাইল সিমের উপর আমদানি কর ৬০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। সহজলভ্যতার ফলে গ্রাহক বাড়ছে। এর ফলে অর্থের অপচয় বাড়ছে।

স্বাস্থের ক্ষতি:

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মানুষের শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন-

- একটানা ৩ মিনিটের বেশি ফোনে কথা বললে রক্ত চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে।

- মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনে ক্যানসার হতে পারে।

- মোবাইল ফোন ব্যবহারে মানুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।

অপরাধ বৃদ্ধি:

বর্তমানে অপরাধ জগতের প্রধান অবলম্বন মোবাইল ফোন। সন্ত্রাস, খুন, ছিনতাই, চাদাবাজি, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ যাবতীয় অপকর্মে এটি ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া সাইবার অপরাধ বৃদ্ধিতে মোবাইল ফোন সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মোবাইল ফোন সময় নষ্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা ও চরিত্র নষ্ট করছে। যুবসমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে মোবাইল ফোন অনেকাংশে দায়ী।

উপসংহার:

পরিশেষে বলা যায় মোবাইল ফোন বর্তমান বিশ্বের আশীর্বাদ। যদিও এর কতিপয় নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে তবুও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করলে এর ব্যবহার আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। মোবাইল ফোনের ইতিবাচক ব্যবহারই উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আমাদেরকে অনেক দূর নিয়ে যাবে। অতএব মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে।

Tag:মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে , টাচ স্ক্রিন মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক কে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা, মোবাইল ফোনের ব্যবহার , মোবাইল ফোনের গুরুত্ব 

No Previous Article No Next Article
Loading Ad...

More You Might Like

Comments

Leave a Comment

Comments (0)

Loading Ad...

Need Help with Your Studies?

Our team is here to guide you with academic support, resources, and expert advice. Reach out anytime and get the help you need to succeed.

Have questions? Contact Us anytime.

Get 15,000+ Articles

Get the latest notice guides and exclusive insights delivered to your inbox every week.

By subscribing, you agree to our Privacy Policy.