Skip to main content
Loading Ad...
Free Study Help

পৃথিবী কি স্থির কুরআন কী/কি বলে | কুরআনের আয়াত নিয়ে নাস্তিকদের অপপ্রচার | কুরআনের যেসব আয়াত নিয়ে নাস্তিকরা অপপ্রচার চালায়

By Arafat Published: October 11, 2025
Views:
পৃথিবী কি স্থির কুরআন কী/কি বলে | কুরআনের আয়াত নিয়ে নাস্তিকদের অপপ্রচার | কুরআনের যেসব আয়াত নিয়ে নাস্তিকরা অপপ্রচার চালায়
Related Posts
Loading Ad...

Table of Contents

পৃথিবী কি স্থির কুরআন কী/কি বলে | কুরআনের আয়াত নিয়ে নাস্তিকদের অপপ্রচার | কুরআনের যেসব আয়াত নিয়ে নাস্তিকরা অপপ্রচার চালায়


পৃথিবী কি স্থির কুরআন কী/কি বলে

উত্তরঃ হ্যা, অনেক নাস্তিকই এটা দাবি করে। তাই নাস্তিকদের সুবিধার্থে তাদের প্রতি লক্ষ্য করেই আপত্তির জবাব দিব ইনশাআল্লাহ। 

পৃথিবী স্থির এটা প্রমাণ করতে গিয়ে তারা কোরআনের সুরা আল মুমিনের ৬৪ নং আয়াত (আল্লাহ তোমাদের জন্য পৃথিবীকে স্থির করেছেন।) সহ আরো বেশ কিছু আয়াত উল্লেখ করে থাকে  যেগুলোর মর্মার্থ প্রায় এক। [১]

কিন্তু এখানে অসুবিধাটা কোথায় সেটাই আমি বুঝতে পারছি না! 

আমরা নবম-দশম শ্রেণীর ফিজিক্স বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে পড়েছি যে, গতি হলো আপেক্ষিক। অর্থাৎ কোন বস্তু এক প্রসঙ্গ বিন্দুর সাপেক্ষে গতিশীল হলেও অন্য প্রসঙ্গ বিন্দুর সাপেক্ষে স্থির হতে পারে। [২] যেমন ধরুন আপনি একটি চলন্ত বিমানে আছেন, এখন লক্ষ্য করুন- বিমানটি কিন্তু আপনার জন্য স্থির, অথচ তা পৃথিবীর জন্য চলমান। 

আপনার জন্য যদি বিমানটি স্থির না হতো, নড়াচড়া করতো,কাপাকাপি করতো, তাহলে বিমানে বসে থাকা আপনার জন্য অসম্ভব হতো।

ঠিক এমনই পৃথিবী আমাদের জন্য স্থির কিন্তু তা মহাবিশ্বের কাছে চলমান। যদি পৃথিবী আমাদের জন্য স্থির না হতো তাহলে পৃথিবীতে বসবাস করা আমাদের জন্য সম্ভব হতো না । 

সাড়ে ১৪শত বছর পূর্বে এই নেয়ামত জাহের করার জন্যই আল্লাহ বলেছেনঃ আমি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে স্থির করেছি। (গাফির- ৬৪)

আচ্ছা! সত্যিই কি পৃথিবী স্থির নয়! না হলে আমরা নড়াচড়া করছি না কেন! পৃথিবী যে স্থির তা তো আমরা সকলেই উপলব্ধি করতে পারছি। আর এই স্থিরতা যে আপেক্ষিক, তা তো বিজ্ঞান-ই আমাদের বলছে। বিজ্ঞান আমাদের বলছে পৃথিবী মানুষের সাপেক্ষে স্থির ও মহাবিশ্বের সাপেক্ষে চলমান। তাহলে কোরআনের ভুল ধরতে গিয়ে এ কেমন মূর্খতা সূলভ আচরণ!? তারা কি বিজ্ঞানের কিছুই জানে না! [৩]

বরংচো পৃথিবী যে, শুধুমাত্র আমাদের জন্য স্থির মহাবিশ্বের নিকট স্থির নয়। কোরঅান তো সে দিকে ইঙ্গিত করে প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, তা এক অলৌকিক গ্রন্থ। যেমন বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে গিয়ে নাস্তিকদের আপত্তি যদি মেনেও নেই! তাহলেও তো প্রশ্ন আসে যে সকলের কাছেই তো এটা দৃশ্যমান যে পৃথিবী স্থির। তাহলে আল্লাহ এটা আলাদা করে বলে (আমি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে স্থির করেছি) কোন্ নিয়ামত জাহের করতে চাইলেন!!

এ কথার অর্থ তো এটাই দাঁড়ায় যে, পৃথিবী আমাদের নিকট স্থির হলেও মহাবিশ্বের নিকট স্থির নয়। মূলত  পাহাড়-পর্বত, বায়ুমন্ডল,অভিকর্ষ শক্তির বলে আমি (আল্লাহ) তোমাদের বসবাসের জন্য পৃথিবীকে স্থির করেছি। বিছানা, কার্পেট বাসস্থান  সরূপ করে দিয়েছি। নচেৎ তোমরা ঢলে পড়তে, ছিটকে যেতে। এই প্রত্যেকটি কথাই আল্লাহ বিভিন্ন আয়াতে বুঝাতে চেয়েছেন। [৪]

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আল্লাহ নিজেই পৃথিবীকে ঘুর্ণেয়মান বলেছেনঃ ❝তিনি রাত ও দিন এবং চন্দ্র, সূর্য সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটিই নিজ অক্ষে বিচরণ করছে।❞ [৫] 

এখানে রূপকভাবে রাত ও দিনকে উল্লেখ করে পৃথিবীকে বুঝানো হয়েছে। কেননা রাত-দিন পৃথিবীতেই প্রকাশ পেয়ে থাকে, পৃথিবী ছাড়া এর কোন অস্তিত্ব নেই। বিজ্ঞানী কোপারনিকাস বলেন, পৃথিবী তাঁর নিজ অক্ষের উপর আবর্তিত হয় বলেই দিন—রাত্রি হয়।[৬]

যেমন আমরা রূপকভাবে বলে থাকিঃ দুই গ্লাস খেয়েছি। এর অর্থ এটা নয় যে, গ্লাস চাবিয়ে খেয়ে ফেলেছি। বরং গ্লাসের মধ্যে যা ছিল তা খেয়েছি। সেরকমই আয়াতে রাত-দিন বলে, তা যার সাথে সম্পৃক্ত তা বুঝানো হয়েছে। আর তা হলো পৃথিবী। আর এখানে রাত দিনের প্রকৃত অর্থ নেয়া যাচ্ছে না কারণ রাত দিন তো আর চন্দ্র সূর্যের মতো বিচরণ করার বস্তু নয়।

এ ছাড়াও যদি আমরা বলতে চাই যে, আয়াতে শুধুমাত্র চন্দ্র- সূর্যের ঘুরার কথাই বলা হচ্ছে, তাহলেও সেটা সম্ভব নয়। কারণ আরবি ব্যকারণে একবচন, বহুবচনের সাথে সাথে দ্বিবচনও রয়েছে, যা অন্য কোন ভাষায় নেই। অর্থাৎ আরবিতে দুজনের ক্ষেত্রেও বহুবচন ব্যবহার করা হয় না। [৭]

সুতরাং এখানে যদি শুধু চন্দ্র-সূর্যের কথা বলা হতো তাহলে  বহুবচন শব্দ  (يسبحون) ব্যবহৃত হতো না। বরং দ্বিবচন শব্দ (يسبحان) হতো। অথচ কোরআনে বহুবচন শব্দ (يسبحون) ব্যবহৃত হয়েছে। অতএব চন্দ্র-সূর্যের সাথে পৃথিবীর ঘূর্ণনও মেনে নেওয়া আবশ্যক হচ্ছে।

অবশেষে আমরা কী বুঝতে পারলাম! কোরআন এক যায়গায় বলছে পৃথিবী স্থির আবার অন্য যায়গায় বলছে পৃথিবী ঘূর্ণায়মান। এটা কি পারস্পরিক বৈপরীত্য নয়? মাত্র কয়েকশো বছর পূর্বে এই অভিযোগটি উত্থাপিত হলে তখন কিছু মানুষকে বিশ্বাস করানো যেত না। কিন্তু এখন তাদেরকেও যাবে। কারণ বিজ্ঞান-ই বলছে পৃথিবী মানুষের সাপেক্ষে স্থির (যেমন কোরআন বলছে  আমি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য স্থির করেছি) এবং মহাবিশ্বের সাপেক্ষে চলমান। (যেমন কোরআন এখানে পৃথিবীকে চন্দ্র সূর্যের সাথে একত্রে  বিচরণ শীল বলছেন। যার মানে মহাবিশ্বের সাপেক্ষে চলমান।) 

কোরআন যদি স্রষ্টার বানি না হতো তাহলে একই সাথে পৃথিবীর স্থির ও চলমান বলাটা মুহাম্মদের জন্য যৌক্তিকভাবে কতটা সম্ভব হতো ভাবেন তো! 

সাথে সাথে আরেকটা বিষয়ও ভাবেন! একই সাথে কোরআনের পৃথিবীকে স্থির ও চলমান বলাটা যদি বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে আজ আমরা জাস্টিফাই না করতে পারতাম। তাহলে কি কোরআনের সত্যটা মিথ্যা হয়ে যেত!?

তথ্য সূত্রঃ

[১] সুরা গাফির- ৬৪ নং আয়াত। 

[২] ফিজিক্স, নবম দশম শ্রেণি। দ্বিতীয় অধ্যায়। এর নিচের ক্লাসেও রয়েছে। 

[৩] উপরোক্ত রেফারেন্স-ই প্রযোজ্য। 

[৪] লোকমান-১০। আল-মুমিন-৬৪।

আয-যুখরুফ-১০।

[৫] সুরা আম্বিয়া - ৩৩ নং আয়াত। 

[৬]গ্রন্থটির নাম: ‘ DE REVALUTIONIBUS ORBIUM CELESTIM ’ । 

[৭] ইলমুস সিগাহ। এসো সরফ শিখি।

টাগ:পৃথিবী কি স্থির কুরআন কী/কি বলে,কুরআনের আয়াত নিয়ে নাস্তিকদের অপপ্রচার, কুরআনের যেসব আয়াত নিয়ে নাস্তিকরা অপপ্রচার চালায়

No Previous Article No Next Article
Loading Ad...

More You Might Like

Comments

Leave a Comment

Comments (0)

Loading Ad...

Need Help with Your Studies?

Our team is here to guide you with academic support, resources, and expert advice. Reach out anytime and get the help you need to succeed.

Have questions? Contact Us anytime.

Get 15,000+ Articles

Get the latest notice guides and exclusive insights delivered to your inbox every week.

By subscribing, you agree to our Privacy Policy.