পাবনা জেলার মানচিত্র | পাবনা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা | পত্র-পত্রিকা

Related Posts
Table of Contents
আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনারা কেমন আছেন আশা করি অবশ্যই ভালো আছেন। আজ আমরা আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম পাবনা জেলার মানচিত্র সম্পর্কিত কিছু তথ্য আশাকরি আমাদের এই তথ্যটি আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে আমাদের পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়বেন।
পাবনা জেলার মানচিত্র
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাবনা সদর উপজেলার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ কম্পাউন্ডে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ২২ জন পাকসেনা নিহত হয়। একই দিনে ঈশ্বরদী উপজেলার মাধবপুর গ্রামে পাকসেনারা ৫ জন যুবককে হত্যা করে। ৯ এপ্রিল নগরবাড়ির প্রতিরোধ ভাঙ্গার জন্য পাকবাহিনীর বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করলে কিছু সংখ্যক নিরীহ লোক নিহত হয়। ১৯ এপ্রিল বেড়া-সাঁথিয়ার সংযোগস্থল পাইকরহাটির নগরবাড়ি-বগুড়া মহাসড়কের উপর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকসেনাদের লড়াইয়ে ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়। ২২ মে ফরিদপুর উপজেলার হাদল গ্রামে পাকসেনারা ১৫৬ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে।এছাড়া ২৭ রমজান পাকসেনারা এ উপজেলার মাজাট গ্রামের ৮ জন এবং রতনপুর গ্রামের ৩ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। অক্টোবরে চাটমোহর উপজেলার চিকনাই নদীর পাড়ে রেল সেতুর কাছে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২৭ নভেম্বর পাকসেনা ও রাজাকাররা সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের ধূলাউড়ি ফকির পাড়ায় নারী নির্যাতন করে এবং এখান থেকে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে ইছামতি নদীর তীরে নিয়ে বেয়নেট চার্জ করলে ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ১ জন প্রাণে বেঁচে যান। ১৪ ডিসেম্বর ভারতীয় বিমানের বোমার আঘাতে পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১২ নং স্প্যান ভেঙ্গে যায় এবং ৯ ও ১৫ নং স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৪ ডিসেম্বর সুজানগর উপজেলায় পাকসেনাদের গুলিতে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।